সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ, তার পরিবারসহ, সম্প্রতি রাশিয়ার মস্কোতে আশ্রয় গ্রহণ করেছেন। রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। সিরিয়ার বিদ্রোহীরা দামেস্ক দখল করে এবং আসাদ সরকারের পতনের ঘোষণা দেয়ার পর, আসাদ রাশিয়ায় পালিয়ে যান। রাশিয়া তাকে এবং তার পরিবারকে মানবিক কারণে আশ্রয় দিয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
এছাড়া, সিরিয়ার বিদ্রোহী জোট জানায়, তারা একটি অন্তর্বর্তী শাসকগোষ্ঠীর কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করার পরিকল্পনা করছে। রাশিয়া সিরিয়ার জনগণের সমর্থন দিতে প্রস্তুত, তবে আগের মতো সামরিকভাবে জড়িত হওয়ার সম্ভাবনা কম বলে জানিয়েছে।
ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাক্রোঁ সিরিয়ার আসাদ সরকারের পতনকে স্বাগত জানিয়েছেন, এবং সিরিয়ার জনগণের সাহসিকতার প্রশংসা করেছেন। জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎসও আসাদ সরকারের পতনকে সুসংবাদ বলে অভিহিত করেছেন এবং সিরিয়ার জনগণের শান্তি ও স্বাধীনতার জন্য প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছেন।
ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু আসাদ সরকারের পতনকে ‘ঐতিহাসিক দিন’ বলে অভিহিত করেছেন, এবং বলেছেন যে, হিজবুল্লাহকে আঘাত দেয়ার ফলেই আসাদ সরকার পতন হয়েছে।
এদিকে, সিরিয়ায় রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে যে, আসাদ প্রেসিডেন্ট পদ থেকে পদত্যাগ এবং ক্ষমতার শান্তিপূর্ণ হস্তান্তর চেয়েছেন। তবে, রাশিয়া এই প্রক্রিয়ায় কোনো ভূমিকা রাখেনি।
এ পরিস্থিতি সিরিয়ায় নতুন রাজনৈতিক পরিবর্তনের সূচনা হতে পারে, যদিও সংঘাতপূর্ণ পরিস্থিতি এবং বিদেশি শক্তির প্রভাব সিরিয়ার ভবিষ্যতকে প্রভাবিত করবে।